গত ১১ই ফেব্রুয়ারী ২০১৭ইং রোজ শনিবার রাত ৯টায় কুয়েত সিটিস্থ গুলশান হোটেলে সুনামগঞ্জ সমাজ কল্যাণ সমিতি কুয়েতের উদ্যোগে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য,উপমহাদেশের শ্রেষ্ঠ পার্লামেন্টারিয়ান, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, দক্ষ সংবিধান প্রণেতা, সাবেক মন্ত্রী, আইন-বিচার ও সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, বৃহত্তর সুনামগঞ্জের কৃতি সন্তান বর্ষীয়ান নেতা এ্যাডভোকেট বাবু সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত এর প্রয়াণে এক স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সুনামগঞ্জ সমাজ কল্যাণ সমিতির উপদেষ্টা কাজী সফিকুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট সংগঠক মিজানুর রহমানের প্রাণবন্ত সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উক্ত সমিতির প্রধান উপদেষ্টা বিশিষ্ট আওয়ামীলীগ নেতা আশরাক আলী ফেরদৌস।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সংগঠক মোঃ আকবর হুসেন,আওয়ামীলীগ নেতা ফয়েজ কামাল, আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুর রউফ মাওলা, কবি আব্দুল মালিক, আওয়ামীলীগ কুয়েতের সাংগঠনিক সম্পাদক এস,এম,আব্দুল আহাদ, তরুণ আওয়ামীলীগ নেতা হুসেন মুরাদ চৌধুরী, আওয়ামী নেতা মোঃ বাহার উদ্দিন, যুবলীগ কুয়েতের আহবায়ক ইমাম উদ্দিন বাদল, আনকার মিয়া, অদুধ আহমেদ,সুরুক আহমেদ, ইকবাল আহমেদ, প্রদিপ সুত্রধর, শামসুল ইসলাম, অদুধ মিয়া, মুরাদ চৌধুরী, আখতারুজ্জামান আহমেদ,লেচু মিয়া প্রমুখ।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একনিষ্ট সহচর, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, অনলবর্ষী বক্তা, সাবেক মন্ত্রী ও বর্তমান সংসদ সদস্য সুরঞ্জিত সেন গুপ্তের অকাল প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করে নেতৃবৃন্দরা বক্তব্য রাখেন।
এসময় নেতৃবৃন্দরা বলেন, জাতির সংকটকালে প্রয়াত সুরঞ্জিত সেন গুপ্তের অমূল্য অবদান আজীবন শ্রদ্ধায় স্মরণ করবে। তাঁর অকাল মৃত্যুতে জাতি একজন নিরলস বঙ্গবন্ধু প্রেমী আদর্শিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে হারাল। তাঁর মৃত্যুতে জাতির অপূরণীয় ক্ষতি হলো। নেতৃবৃন্দরা বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে বর্তমান সময়ের আওয়ামী রাজনৈতিক উত্তরনে প্রয়াত সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ছিলেন, নির্ভীক ও সাহসী সৈনিক। প্রয়াত সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের বিদেহী আত্মার সদগতি কামনা করেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান নেতৃবৃন্দরা।
সুনামগঞ্জের নেতৃবৃন্দরা বলেন, বর্ষীয়ান এই আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যুতে শোকে কাতর নির্বাচনী এলাকা সুনামগঞ্জ-২ (দিরাই-শাল্লা) সহ পুরো সুনামগঞ্জবাসী। তার মৃত্যুতে দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তিনদিনের শোক ঘোষণা করা হয়েছিল। সেদিন সোমবার বেলা ১১টায় তার মরদেহ নিজ জেলা সুনামগঞ্জে নিয়ে আসার পর। দুপুর ১টায় তার নির্বাচনী এলাকা শাল্লা এবং বিকাল ৩টায় দিরাই উপজেলায় তার মরদেহে সাধারণ মানুষের শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে।
নেতৃবৃন্দরা বলেন, সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনকে নানা বিশেষণে বিশেষায়িত করা গেলেও সিলেটের রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ পর্যন্ত তার পরিচিতি ছিল ‘দাদা’ হিসেবে। প্রিয় সেই দাদাকে হারিয়ে সিলেট আজ শোকবিহ্বল। স্বাধীন বাংলাদেশে সাতবার জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া এই পার্লামেন্টারিয়ান ছিলেন সিলেটের রাজনীতির একজন অভিভাবক। তার মৃত্যুতে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে তা সহজে পূরণ হওয়ার নয়।
সর্বশেষে নৈশভোজের মধ্যে দিয়ে উক্ত স্মরণ সভার সমাপ্তি ঘটে।